Friday, May 6, 2022

বাংলাদেশ আসতে অনলাইনে পূরণ করতে হবে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম।

 বাংলাদেশ আসতে অনলাইনে পূরণ করতে হবে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম। 



২০ এপ্রিল এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বেবিচক। পরবর্তী নির্দেশনা জারি না করা পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। 


বাংলাদেশে এতো দিন বিদেশ থেকে দেশে আসার সময় হাতে লিখে যাত্রীদের পূরণ করতে হতো হেলথ ডিক্লারেশন ফরম। এতে বিমানবন্দরে এসে যাত্রীদের ফরম পূরণ করে জমা দিতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো। এই জটিলতা দূর করতে দেশে আসার ৩ দিনের মধ্যে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করার নিয়ম চালু করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ৭ এপ্রিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয়।


২০ এপ্রিল বেবিচকের ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের সদস্য চৌধুরী এম জিয়াউল কবির স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, 


✅যাত্রীদের দেশে আসার আগে হেলথ ডিক্লারেশন ফরমপূরণ করতে হবে। ফ্লাইটের ৩দিনের বেশি আগে এই ফরম পূরণ করা যাবে না।


✅https://healthdeclaration.dghs.gov.bd/ এ ওয়েব সাইটে গিয়ে অনলাইনে ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি পূরণ করার পর কিউ আর কোড যুক্ত হেলথ কার্ড আসবে, সেটি প্রিন্ট করে কিংবা মোবাইলে সফট কপি নিজের কাছে রাখতে হবে।


✅কোন যাত্রী ট্রানজিট হয়ে আসার পথে যদি ৩য় কোন দেশে প্রবেশ করে, তবে তাকে পুনারায় হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে। তবে সেই দেশে প্রবেশ না করে শুধু বিমানবন্দরে ট্রানজিট হয়ে আসলে নতুন আবারও হেলথ ডিক্লারেশন ফরম পূরণ করতে হবে না।


✅ বোডিং এর সময় এয়ারলাইন যাত্রীর হেলথ কার্ড আছে কি না যাচাই করবে।


✅দেশে আসার পর বিমানবন্দরে কিউআর কোড যুক্ত হেলথ কার্ড দেখাতে হবে যাত্রীকে।


✅ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত যে কোন টিকার র্পূণ ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের বাংলাদেশ আসতে করনো পরীক্ষা করতে হবে না।


✅ যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহনের প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হবে। 


✅ যেসব যাত্রী এক ডোজ কিংবা কোন ভ্যাকসিন নেননি, তাদের বাংলাদেশ আসতে হলে ৭২ ঘন্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে।


✅১২ বছরের নিচে শিশুদের কোন করোনা টেস্ট করাতে হবে না। তবে তাদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনাগুলো মানতে হবে।


✅বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যেতে করোনা পরীক্ষারও বাধ্যবাধকতা থাকছে না। যাত্রীরা যে দেশে যাবেন, সেদেশের নির্দেশনা অনুসরণ করবেন।


✅ টিকা নেয়া বা না নেয়া কোন যাত্রীর মধ্যে করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা যায় তাহলে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ যাত্রীর করোনা টেস্ট করাবে। টেস্টে তার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসলে তাকে নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলের সাতদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এরপর পুনরায় ৭দিন পর আবারও করোনা পরীক্ষা করা হবে।


✅ ফ্লাইটে যাত্রী বহনের সংখ্যার ওপর বিধি নিষেধ শিথিল করেছে বেবিচক। নির্দেশনায় এয়ারলাইনগুলোকে বলা হয়েছে, ফ্লাইটে করোনা আক্রান্ত যাত্রী ধরা পড়লে আলাদা বসার জন্য ছোট আকারের উড়োজাহাজে শেষের রো-এর সব সিট খালি রাখতে হবে।


✅ আগে ৩০০ জন যাত্রী ধারণে সক্ষম উড়োজাহাজে ৯৫ শতাংশের বেশি যাত্রী না নেওয়ার বিধান ছিলো। এখন বড় উড়োজাহাজেও ইকোনমেকি ক্লাসের শেষের রো-এর সব সিট খালি রাখতে হবে। বিজনেস ক্লাসে ১টি সিট খালি রাখতে হবে।


4 comments: